গত বুধবার (২২ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠক প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, প্রায় এক বছর পর ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সুসংবাদ বলা যায়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে দাম বাড়ার পর ডলারের ক্রয়-বিক্রয় দর ৫০ পয়সা কমেছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবে ১১০ টাকা। এক্ষেত্রে সরকার ও ব্যাংকের প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে। আর আমদানিকারদের কাছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন এ দর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
আফজাল করিমের কাছে দাম কমানোর কারণ হিসেবে জানা যায়, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতি ছিল তবে এখন উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাই ডলারের দাম বাড়ার কারণ নেই; আর বাজারে ডলারের যে সংকট দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে কৃত্রিম।
জানা যায়, গত বছরের মার্চে ইউক্রেনে রাশিয়ায় হামলা শুরুর আগে ডলার যা খরচ হতো, তার চেয়ে বেশি জোগান ছিল। তবে যুদ্ধ শুরুর পর পণ্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের চাহিদাও বেড়ে যায়। শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করত। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে এবিবি ও বাফেদা। তবে সংকট না কেটে ক্রমেই তা ঘনীভূত হচ্ছে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!