আমাদের মহাবিশ্বের কোন কিছুই স্থির থাকে না। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্য ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করে। এমনকি ছায়াপথগুলোও ক্রমাগত গতিশীল থাকে। মহাশূন্যে থাকা সবকিছুই গতিশীল।
জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এবং লাস কামব্রেস অবজারভেটরির শিক্ষা পরিচালক এডওয়ার্ড গোমেজ বলেন, মহাবিশ্ব এবং এর মধ্যে থাকা বস্তুগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছিল, গতিশীলতার বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিল বিগ ব্যাং বা বিশাল মহাবিস্ফোরণ দিয়ে। একটি অসীম ঘন একক বিন্দু থেকে অতিদ্রুত প্রসারণ- আমরা আজ যা কিছু দেখি, সেসব কিছু গঠনের দিকে ধাবিত হয়।
এডওয়ার্ড গোমেজ বলেন, মহাবিশ্বের শুরু থেকেই এর ব্যাপ্তি বাইরের দিকে প্রসারিত হতে শুরু করেছিল। বিগ ব্যাংয়ের শক্তির প্রভাবে সবকিছু আলাদা হয়ে যায় সে সময়।
এটি কৌণিক ভরবেগের কারণেও হয়ে থাকে। যখন মহাকাশে দুটি বস্তু কাছাকাছি চলে আসে, তখন তাদের পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণ তাদের একে অপরের দিকে টানে। তখন যদি সংঘর্ষ না হয় বা বিভিন্ন দিকে উড়ে না যায়, তবে তারা একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে। এই ঘটনাটি ক্ষুদ্রতম খনিজ শস্য থেকে শুরু করে বৃহত্তম ছায়াপথ পর্যন্ত সমস্ত কিছুকে প্রভাবিত করে।
এ কারণেই আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সৌরজগতটি গ্যাস এবং ধূলিকণার একটি ঘূর্ণায়মান ভর হিসাবে শুরু হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত তারকা এবং গ্রহগুলোতে একত্রিত হয়েছিল। কৌণিক ভরবেগের কারণেই এটি নিশ্চিত হয়, কখনই ঘূর্ণন বন্ধ হবে না।
গোমেজ বলেন, গতি মহাবিশ্বের একটি মৌলিক উপাদান। এটি দেখায় যে, মহাবিশ্ব জীবিত। রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া, শারীরিক প্রতিক্রিয়া ঘটছে এবং এর জন্য শক্তি প্রয়োজন। আর এই শক্তির সবচেয়ে মৌলিক ফর্ম হল গতি।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!