যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ধনকুবের ইলন মাস্ককে দেওয়া বহুপ্রতীক্ষিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ওই আগ্রহের কথা জানান। নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টার বেশি সময় পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাক্ষাৎকারটির সরাসরি প্রচার শুরু হয়। বলা হচ্ছে, সাইবার হামলার জেরে এ বিলম্ব ঘটে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিসকেও আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্য দেন আরও কিছু বিষয়ে।
মার্কিন ফেডারেল শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা উচিত মন্তব্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করতে চাই। চাই, শিক্ষাকে অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফিরিয়ে দিতে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।’ শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করা হলে ‘অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে’ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এতে শিক্ষা খাতে খরচ অর্ধেক কমবে।
ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের রানিং মেট মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে পাবলিক বিদ্যালয়গুলোতে ছেলেদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ওই আইন গত বছর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে এ আইনে ছেলেদের, না মেয়েদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে, সেটির উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য এটি সহজলভ্য করতে হবে।
রিপাবলিকান পার্টি এ আইনের কড়া সমালোচনা করেছে এবং ওয়ালজকে ‘ট্যাম্পন টিম’ আখ্যা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে ওয়ালজ এ ডাকনামকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের পণ্য সহজলভ্য করার কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত।
ট্রাম্প বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা মজার বিষয়।’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না বা কোনো সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন—এটা চিন্তা করা কষ্টের।’
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!