কিশোরগঞ্জে ভৈরব থানায় গত সোমবার (১ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ০৭.৩০ মিনিটে কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ডে কিশোর গ্যাং-এর এক সদস্যের টিকটক একাউন্টে কমেন্ট করা কে কেন্দ্র করে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বেশ কিছু দোকানপাট সাটার কোপায় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
কিশোর গ্যাং এর সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আটককৃত কিশোর গ্যাং এর ৬ সদস্যের ১.নয়ন মিয়া (৩০),পিতা: মৃত নুরুল হক, সাং: কমলপুর মুসলিমের মোড়, ২.আরিয়ান ইসলাম (১৯), পিতা: মোহাম্মাদ আলী, সাং: কমলপুর মধ্যপাড়া ৩. জিহাদ সরকার (১৯), পিতা: ফারুক সরকার, সাং: কমলপুর সরকার বাড়ী, ৪.হেদায়েত উল্লাহ (১৯), পিতা: মহিবুল্লাহ, সাং: কমলপুর সরকার বাড়ী, ৫.মো. সৌরভ আহম্মেদ (২৪), পিতা: মো. রিপন মিয়া, সাং: মানিকদী, ৬.মো. আবির হাসান (২২), পিতা: মৃত জাহাঙ্গীর আলম, সাং: বাঁশগাড়ী, আটককৃতরা ছাড়াও আরো ২০-২৫ জন আসামী ভৈরব থানাধীন কমলপুরের লোকাল বাসস্ট্যান্ডে তাদের ছোড়া ইট-পাটকেল পুলিশের গায়ে লাগলে তারা আহত হন।
পুলিশ নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাদের কাছে থাকা শর্ট গান দিয়ে তাৎখনিক ৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশের গুলি বর্ষণের পরে কমলপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
ভৈরবের র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ক্যাম্প উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং আসামীদের কে আটকের জন্য ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। র্যাবের অপারেশনে উক্ত আসামীদের কে আটক করা হয়। আসামিদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রের মাঝে ১টি লোহার পাইপের মাথায় মটর সাইকেলের চেন-পকেট লাগানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যার দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি এবং আরেকটি ২ ফুট লম্বা ১ টি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের পাইপ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ক্যাম্প কিশোরগঞ্জ পোস্ট-কে জানিয়েছে, উক্ত ঘটনায় বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও গোয়েন্দাদের নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!