সেহরির পর গভীর রাতে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উসকে দেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ মুন। তার মতে, বুয়েট সাংবাদিক সমিতিকে ব্যবহার করে এই কাজটি করেছে ছাত্রশিবির।
সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফেসবুক পোস্টে এমন দাবি করেন সাবেক এই বুয়েটিয়ান।
বুয়েট সাংবাদিক সমিতির কথা উল্লেখ করে তন্ময় লিখেন, ‘এরা কোনো প্রতিষ্ঠিত বা রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোনো মিডিয়ার প্রতিনিধি না।’
২৮ তারিখ রাতে সেহরির সময় তারা এই গুজব ছড়িয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উসকে দেয়। তারা দাবি করে, বুয়েটে এসে ছাত্রলীগের নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে গভীর রাতে। যেন সুবিশাল এক প্ল্যান বাস্তবায়নে নেমেছিল ছাত্রলীগ আর বুয়েটের কিছু ছাত্র।
পোস্টের সঙ্গে বুয়েট সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তন্ময়। ওই পোস্টে ‘রাতের অন্ধকারে বুয়েট ক্যাম্পাসে দলীয় প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করলো ছাত্রলীগ- সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ’ শিরোনামে একটি খবর প্রচার করা হয়।
এই খবরটিকে গুজব দাবি করে তন্ময় লিখেন, ‘গুজবের সোর্স হিসেবে কাজ করার জন্যই শিবিরের ছেলেরা সাংবাদিক সমিতি দখল করে রাব্বিকে বহিষ্কার করে।
গত বছরের জুলাইয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে একটি বোট থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ২৪ জন ছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী। তাহিরপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধ একটি মামলাও করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঈন উদ্দীন, মো. ফাহাদুল ইসলাম, মো. মাহমুদুল হাসান এবং তানভীর আরাফাত ফাহিম বুয়েট সাংবাদিক সমিতির এক্সিকিউটিভ প্যানেলের বিভিন্ন দায়িত্ব রয়েছেন বলে ফেসবুক পোস্টে জানান তন্ময়।
বুয়েট অথোরিটি এদের কিছু করবে না মন্তব্য করে গোয়েন্দা বাহিনী এবং পুলিশকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। তন্ময় বলেন, ‘এদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে অপরদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে চার বছর ধরে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্রলীগ। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!