ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সীমান্ত হত্যা হয়, যা ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে জহুরুল ইসলাম (২৭) নামে বাংলাদেশি যুবককে হত্যা-কাণ্ডের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত দেয়নি তারা। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ ফেরত না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও-৫০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডা কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান।
গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী সীমান্তে’র ৩৭০/৩ মেইন পিলার এলাকায় বিএসএফের গুলিতে জহুরুল ইসলাম (২৭) যুবক নিহত হন। তিনি আব্দুল বাসেতের ছেলে।
গেদুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, রোববার কাঠালডাঙ্গী সীমান্ত এর ৩৭০/৩ এস, ভারত নারগাও ক্যাম্প পিলার-৭২ সীমানার এলাকায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু পারাপার করতে যান। এসময় তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে দুই যুবক আহত হন। এদের মধ্যে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া মোখলেছুর রহমানের লাশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। জহুরুলকে বিএসএফ নিয়ে যায় এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএসএফ লাশটিকে পরবর্তী ৩ দিনের মাঝে ফেরত দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, জহুরুলের মরদেহ ফেরত দিতে বিজিবি পতাকা বৈঠক করেছে। বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও তারা মরদেহ ফেরত দেয়নি। হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা পাইনি। ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান বলেন, গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ এখনও বিএসএফ ফেরত দেয়নি।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!