fbpx
Ad imageAd image

হিজবুল্লাহর ভান্ডারে যেসব অস্ত্র আছে

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমিক আন্তসীমান্ত সংঘাত চলছে। ইসরায়েলে হামলা চালাতে নানা অস্ত্র ব্যবহার করেছে হিজবুল্লাহ। বিশ্বের অন্যতম অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ভান্ডারে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র আছে। অরাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হিজবুল্লাহর কাছেই সবচেয়ে বেশি অস্ত্রের মজুত আছে।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট আছে। সংগঠনটির কাছে এমন রকেট আছে, যা ইসরায়েলের সর্বত্র আঘাত আনতে সক্ষম। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর কাছে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে, যেগুলো নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে অক্ষম। আছে ড্রোন, ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও জাহাজ–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

হিজবুল্লাহর কাছে আনগাইডেড মিসাইল ও রকেট আছে। ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সবশেষ যুদ্ধ হয়েছিল হিজবুল্লাহর। সে সময় ইসরায়েল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ প্রায় ৪ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এগুলোর বেশির ভাগই ছিল কাতিউশা মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। রাদ, ফজর, জিলজালসহ ইরানি মডেলের নানান রকেট আছে হিজবুল্লাহর কাছে। এগুলো কাতিউশার চেয়ে বেশি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।

চলমান সংঘাতে অনেকবার ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের এসব ড্রোনের মধ্যে আছে হারমেস ৪৫০ ও হারমেস ৯০০। এই ড্রোন ধ্বংস করতে হিজবুল্লাহ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। হিজবুল্লাহ ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলে অনেক হামলা চালিয়েছে। বিস্ফোরকভর্তি এসব ড্রোন ছিল একমুখী। 

- Advertisement -

হিজবুল্লাহ ২০০৬ সালে প্রথম প্রমাণ করে, তাদের কাছে জাহাজ–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে। সে সময় উপকূল থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ইসরায়েলি একটি যুদ্ধজাহাজে আঘাত করে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র। এতে চার ইসরায়েলি নিহত হয়। জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *