fbpx
Ad imageAd image

সই জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান

হাসান লিংকন
হাসান লিংকন

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সই জালিয়াতি করার অভিযোগে করা একটি মামলায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছিলো আদালত। জারি করা হয়েছিলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ), ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৮ এ রেনু আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, “আমরা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়েছি। সেটি নিরীক্ষার পর তামিল করার আগেই আসামী স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আসামীর জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন কোয়েলের ভাষ্যমতে, ‘আমার মক্কেল রফিকুল ইসলাম রেনুকে একটা মিথ্যে মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাই আজ তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। আমরা জামিনের জন্য আপিল করব।’

- Advertisement -
আদালতে আত্নসমর্পণের সময় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু

মামলার এজাহারের তথ্যানুযায়ী, উত্তরা ব্যাংকের এক শাখা থেকে মেসার্স এলিট আয়রন এন্ড স্টীল জিপি শিট লিমিটেড কোম্পানি দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণ মওকুফ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে আসামী রফিকুল ইসলাম রেনু কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন।

এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সই জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মসিউর রহমানের জায়গায় ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তখন তিনি চিঠিটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণিত হয়, এমন কোনো চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়নি।

এ ঘটনায় তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় । ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালত এ মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা মোতাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ নির্বাচন এলেই প্রতিপক্ষ আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য খোঁজে খোঁজে এসব পুরোনো মামলা বের করে আনে। সামনে ৮ মে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচন করব। এর আগেও বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দেওয়া হয়েছে।’

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *