fbpx
Ad imageAd image

শত বছর ধরে খালি পড়ে থাকা ভুতুড়ে এক শহর

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট

শহরে বেশ বড় একটি অভিজাত স্কুল রয়েছে। আছে সরু রাস্তা। একটি খাঁড়া উপত্যকার দুপাশ ধরে সারিবদ্ধ বাড়িও আছে। শহরের ঠিক মাঝখানে প্রাচীন একটি ঝরনা। আরও আছে গির্জা আর পাহাড়ের ওপর থেকে নিচের এজিয়ান সাগরের নীল জলরাশি উপভোগের সুযোগ।

কিন্তু, কী আশ্চর্য! এমন সুন্দর শহরটিতেই এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে মানুষের বসবাস নেই।এটি তুরস্কের দক্ষিণ–পশ্চিমের মুগলা প্রদেশের ছোট পাহাড়ি শহর কায়কোয়; যেটি পরিণত হয়েছে সত্যিকার এক ভুতুড়ে শহরে।

অথচ এক শতাব্দী আগেও ব্যস্ত শহর ছিল কায়কোয়। লেভিসি নামেও পরিচিত ছিল এটি। শহরে অন্তত ১০ হাজার গ্রিক অর্থোডক্স খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী বসবাস করতেন। তাঁদের অনেকেই ছিলেন হস্তশিল্পী। স্থানীয় মুসলিম কৃষকদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন তাঁরা।

- Advertisement -

কিন্তু স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে তুরস্কের উত্থানকে ঘিরে অভ্যুত্থান শুরু হলে শহরটির বাসিন্দাদের সহজ–সরল জীবন বিনষ্ট হয়।

১৯২২ সালে গ্রিক-তুর্কি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রতিবেশী গ্রিসের সঙ্গে নতুন করে তুরস্কের উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় উভয় দেশ একে–অপরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। যার অর্থ, কায়কোয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে গ্রিসের কাভালায় বসবাস করা মুসলিম তুর্কি বাসিন্দাদের জোরপূর্বক স্থানবিনিময় করা হয়।

কিন্তু কাভালার মুসলিম তুর্কিরা কায়কোয় নতুন আবাস নিয়ে মোটেও খুশি ছিলেন না। ফলে তাঁরা দ্রুত শহর ত্যাগ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রাণচঞ্চল কায়কোয় পরিণত হয় ভুতুড়ে এক শহরে।

- Advertisement -

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *