মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি। মেয়াদের বড় একটি অংশ ছুটিতেই কাটিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চার বছরের কম সময়ের মধ্যে বাইডেন ৫৩২ দিনই ছুটিতে ছিলেন, যা তার প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ের প্রায় ৪০ শতাংশ। মাত্র এক হাজার ৩২৬ দিন অফিস করেছেন তিনি। গত ১ সেপ্টেম্বর এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে আরএনসির বিশ্লেষকরা।
এই সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের গড় কর্মীর ছুটির তুলনায় অনেক বেশি। একজন মার্কিন কর্মী গড়ে বছরে ১১ দিন ছুটি পেয়ে থাকেন। সেই হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাধারণ একজন কর্মীর তুলনায় প্রায় ৪৮ বছরের সমান ছুটি কাটিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলাকালীন এত ছুটি নেয়া প্রেসিডেন্টের জন্য অনুপযুক্ত।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে হোয়াইট হাউজের বাজেট অফিসের সাবেক জেনারেল কাউন্সেল মার্ক পাওলেটা বলেছেন, ‘আমেরিকা ও বিশ্বে যখন আগুন জ্বলছে,সেই সময় সমুদ্র সৈকতে চেয়ারে হেলান দিয়ে আরাম করে ঘুমাচ্ছেন বাইডেন-এই দৃশ্যটিই এক সময় তার প্রেসিডেন্সির প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে।’
তবে প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা জানিয়েছেন, ছুটিতে থাকলেও কাজ করেন বাইডেন। এছাড়া সবসময়ই তাকে ফোনে পাওয়া যায়।
অনেকেই বাইডেনের ছুটির পরিমাণ ও সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, মূল্যস্ফীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের মতো বিষয়গুলোর দিকে প্রেসিডেন্টের মনোযোগ বেশি দেয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, বাইডেন তার পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি ছুটি নিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদের ২৬ শতাংশ ব্যক্তিগত সফরে কাটিয়েছেন। সেই তুলনায় বাইডেনের ৪০ শতাংশ ছুটি অনেক বেশি।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!