যবে বিশ্বমানব তাহারে ছাড়ি পূজিছে ভিন্নজন,
ঈশ্বর ও তাহার কৃপা হইতে তবে বঞ্চিত ত্রিভুবন।
মানবের মাঝে আপনারে লভি শুধায় কালার মন,
তাহারে খুঁজিতে কত আয়োজন করিলে আজীবন ;
দেখিলে না কেন চক্ষু মেলিয়া স্বীয় অন্তঃগঠন?
কত মত কত পথ রচিলে সকলে, তাহারে পাইবার তরে,
সৃষ্টির মাঝেই স্রষ্টা যে লীন কালের আগে ও পরে!
মহাকালের ঢেউয়ের তালে,সত্যপথের আলো জ্বেলে,
কত পয়গম্বর আসিয়া ফিরিলেন,কত জাতে কত কালে,
রিপুর পূজায় মত্ত মানব বিভাজিত দলে দলে।
আজি সৃষ্টির নিয়মে স্রষ্টারে খোঁজ্, দিগন্ত গিয়াছে খুলিয়া,
বিভ্রান্ত মানব পথভ্রষ্ট ফের তাঁহাতে প্রশ্ন তুলিয়া,
সত্য-জ্ঞান লভিবে কেমনে একক স্বত্বাধিকারী ভুলিয়া?
মানবের সীমা ক্রম-প্রসারিত, ক্রোশ হইতে আলোকবর্ষ,
সীমালঙ্ঘনের কামনা হৃদয়ে,মস্তিষ্কে স্ববিরোধী সংঘর্ষ।
অসীমের সনে সসীম সৃষ্টির তুলনা করিয়া অধম,
আত্মারে করিলে হুতাশনে চিরদগ্ধ হে নরাধম!
তোমাদের যত তত্ত্বসকল, স্বীকার্যের হামাগুড়ি,
শত মতবাদের বস্তাবন্দি কেবলই হাতেখড়ি।
পড় তোমার প্রভুর নামে,সৃষ্টি করিলেন যিনি,
তবেই মিলিবে অজ্ঞাত জ্ঞান, হৃদয় চির-ঋণী।
হে মানব হইয়া সরব পড় কোরআনের বাণী,
কতকাল আর পূজিবে রিপু নির্ণয় ন জানি!
