fbpx
Ad imageAd image

বিপিএল : নতুন চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

চ্যাম্পিয়ন, বরিশাল, বিপিএল

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট

বিপিএল-এর দশম আসরে এসে চ্যাম্পিয়ন তকমাটা গায়ে মাখানো হলো বরিশালের। যদিও বিপিএলের প্রথম আসরেই ফাইনালে উঠেছিল বরিশাল। তবে ট্রফি জয়ের সৌভাগ্য হয়নি।

বরিশাল বার্নার্স থেকে বরিশাল বুলস, বরিশাল বুলস থেকে ফরচুন বরিশাল। এরমধ্যে তিনবার ফাইনাল খেললেও সাফল্য কিছুতেই ধরা দিচ্ছিলো না। অবশেষে এবার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ফাইনালের মঞ্চে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে সমর্থ হয়েছে ফরচুন  বরিশাল।

এদিন টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫৪ রানেই থেমে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস। জবাবে ১ ওভার বাকি থাকতেই কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় ফরচুন বরিশাল ফ্রাঞ্চাইজি। ফাইনালের মঞ্চে অপরাজিত কুমিল্লাকে এবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

তামিম ও মুশফিক

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। তামিম-মিরাজের উদ্বোধনী জুটি থেকে আট ওভারে আসে ৭৬ রান। তামিম ২৬ বলে ৩৯ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরায় ভাঙে এই জুটি।তামিম ফেরার পর স্কোরকার্ডে আর ৬ রান যোগ করতেই ফেরেন মিরাজও। ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে মঈন আলীর শিকার হন তিনি।

- Advertisement -

দুই ওপেনারের পাশাপাশি বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম । মুশফিককে এক প্রান্তে রেখে অপর প্রান্তে চার ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটাতে থাকেন মায়ার্স। এই জুটিতে আসে ৫৯ রান। দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্স আউট হলে এই জুটি ভাঙে । ৫ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ বলে ৪৬ রান করেন মায়ার্স। ১৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন মুশফিক। তবে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বরিশালের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে আর ডেভিড মিলার ৮ রানে।

এর আগে টসে হেরে কুমিল্লার হয়ে ইনিংসে গোড়াপত্তন করতে নামেন সুনীল নারিন ও লিটন দাস। তবে কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম ওভারেই মাত্র ৫ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান নারিন। এবারের বিপিএলে ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ টিকতে থাকতে পারেননি মাঠে। ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে  অধিনায়ক লিটন দাসও ১২ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান।

৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা কুমিল্লাকে টানার চেষ্টা করেছিলেন জনসন চার্লস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে দুজনের জুটিতে ২৩ রানের বেশি হয়নি। দলীয় ৬৫ রানে তামিমের হাতে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন চার্লস। ফেরার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। দলীয় ৭৯ রানে, রান আউটে কাটা পড়েন মঈন আলি। এতে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলের বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনে মিলে গড়েন ৩৬ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী জুটি। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো অঙ্কন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে উইকেটে আসেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ দিকে ঝড় তোলেন এই ক্যারিবিয়ান।  জেমস ফুলারের ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। খেলেন ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের টর্নেডো ইনিংস। এছাড়া জাকের আলী ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। আর এতেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান দাঁড় করায় কুমিল্লার।

বরিশালের জেমস ফুলার ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট । এছাড়া কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ওবেদ ম্যাককয় নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

- Advertisement -

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তাওহিদ হৃদয়, জনসন চালর্স, জাকের আলী (উইকেটকিপার), মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, রোহানতদৌল্লাহ বর্ষণ, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম।

ফরচুন বরিশাল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, ডেভিড মিলার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), কাইল মায়ার্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, ওবেদ ম্যাককয় ও জেমস ফুলার।

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *