fbpx
Ad imageAd image

নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে:জাতিসংঘ মহাসচিব

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট

সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবার কাতারে দোহা ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ব্যর্থতার জন্য পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তির নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। গুতেরেস বলেছেন, সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

কাতারে দোহা ফোরামে অংশ নিয়ে রোববার এ মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এক দিন আগেই গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্যই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। তবে স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় শেষ পর্যন্ত তা সফলতার মুখ দেখেনি।

দোহায় দেওয়া ভাষণে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ‘ভূকৌশলগত বিভক্তির কারণে পরিষদ পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ হয়ে পড়েছে। এ বিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে জাতিসংঘের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

- Advertisement -

গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন অঙ্গীকার করে গুতেরেস বলেন, গাজা পরিস্থিতির এত দ্রুত অবনতি হচ্ছে যে তা ‘বিপর্যয়ের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব এমন হবে যে ফিলিস্তিনিরা হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। গাজা সংঘাত এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে।

এর আগে গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। কাতারসহ কয়েকটি পক্ষের মধ্যস্থতায় এটি সম্ভব হয়েছিল। দোহা ফোরামে নতুন করে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাতার যুদ্ধবিরতি নিয়ে যতটা আগ্রহ দেখাচ্ছে, হামাস বা ইসরায়েল ততটা দেখাচ্ছে না।

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *