fbpx
Ad imageAd image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার দিন আগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজের ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বঙ্গভবন জানায়, পাবনা সদর আসনের ভোটার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা দুপুরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের ভোট দেন। 

ভোট দেওয়ার পর খামে ভরা ব্যালট পেপার নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রাষ্ট্রপতি। ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পাবনায় না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “আমি যদি বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে ওখানে যাই, তাহলে ভোটের দিন আমার ভোটকেন্দ্রটিসহ পুরো পাবনা জেলাতেই একটা প্রভাব পড়বে আমার নিরাপত্তার কারণে। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়তবা একটু বিড়ম্বিত হবে, একটু বাধার সম্মুখিন হবে। হয়ত কিছুক্ষণের জন্য। আমার সচেতন বুদ্ধি বলে, এই ক্ষেত্রে আমার এলাকায় গিয়ে ভোট দেওয়া, সাধারণ ভোটারদের বিঘ্নিত করা আমার উচিৎ হবে না।”

- Advertisement -

সকলের অংশগ্রহণে ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম , প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, কোনো ব্যক্তি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী- সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে মূলত পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিকে জনপ্রিয় করে তুলতে চায় নির্বাচন কমিশন।

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় নিজের নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সে অনুযায়ী এবার আবেদন করার সুযোগ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 

- Advertisement -

আবেদন পাওয়ার পর ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর আবেদনকারী ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠালে তা মূল ফলের সঙ্গে যোগ করা হয়।

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *