গাধাটির নাম ‘ডিজেল’। ক্যালিফোর্নিয়ার এক যুগল শখ করে পুষতেন সেটি। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে হারিয়ে যায় ডিজেল। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। তবে পাওয়া যায়নি। পাওয়ার আশা ছেড়েও দিয়েছিলেন এ দম্পতি। সম্প্রতি জানা গেল, ডিজেল দিব্যি বেঁচেবর্তে আছে। বনে ইলকের সঙ্গে ‘সেরা সময়’ কাটাচ্ছে।
বড় আকার ও বড় শিংয়ের একধরনের হরিণের প্রজাতি ইলক। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে ইলক দেখতে পাওয়া যায়। গত জুনের শুরুর দিকে বনের মধ্যে ম্যাক্স ফেনেল নামের এক পর্যটকের ক্যামেরায় ডিজেল ও ইলকের ঘোরাফেরা শনাক্ত হয়।পরে ওই ফুটেজ দেখে ডিজেলের মালিক টেরি ও দেভ ড্রিওরি বুঝতে পারেন, এটাই তাঁদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয় গাধা। ডিজেল বেঁচে আছে, সুস্থ আছে, নতুন বুনো পরিবারের সঙ্গে নিরাপদে আছে—এটা দেখে খুশি হন তাঁরা।
২০১৯ সাল। ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লিয়ার হ্রদের পাশে হাইকংয়ে গিয়েছিলেন দেভ ড্রিওরি। সঙ্গে ছিল ডিজেল। একপর্যায়ে হারিয়ে যায় প্রাণীটি। কয়েক সপ্তাহ ডিজেলকে খুঁজেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকেরা, কিন্তু সফল হননি। গাধাটির কোনো অস্তিত্ব এত দিন জানা যায়নি।
এত দিন পর এসে ম্যাক্সের ধারণ করা ফুটেজে ডিজেলকে বেশ ‘চঞ্চল ও স্বাস্থ্যকর’ দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ফুটেজ পোস্ট করেছেন ম্যাক্স। ফুটেজ দেখে টেরি ও দেভ বলছেন, ‘এটা দুর্দান্ত। অবশেষে আমরা ডিজেলের দেখা পেলাম। এটা স্বস্তির যে সে ভালো আছে, সুস্থ আছে। জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছে।’
ডিজেল যে জায়গায় হারিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে কয়েক মাইল দূরে ইলকের পাল বসবাস করে। সেখানে বুনো গাধার অস্তিত্ব এর আগে কখনোই দেখা যায়নি।টেরি ও দেভ এখন নতুন গাধা পুষছেন। ডিজেলকে ফেরাতে চান না তাঁরা। তাঁদের মতে, ডিজেল একসময় গৃহপালিত ছিল। এখন সে পুরোপুরি বুনো জীবনে অভ্যস্ত। বনেই ভালো আছে।ডিজেলের বয়স আট বছর ছুঁয়েছে। আর একটি গাধা সচরাচর ৪০ বছর বেঁচে থাকে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!