fbpx
Ad imageAd image

চতুর্থমাত্রার কথন

কিশোরগঞ্জ পোস্ট
কিশোরগঞ্জ পোস্ট
চতুর্থমাত্রার কথন

আমাদের সাম্প্রতিক কালের পাব্লিক রিপ্রেজেন্টেটিভস্ অর্থাৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গভর্নিং-কর্পোরেট-ব্যুরোক্র্যাটস্ ফ্রম ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ এর মাঝে নির্বাহী ক্ষমতা তথা রাষ্ট্রযন্ত্রের বহুমাত্রিক নিয়ামকসমূহের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করার ইস্যুতে অঘোষিত চলমান অন্যায়মূলক অদৃশ্য প্রতিযোগিতার কার্যকারণ হিসেবে; আজকের ‘রাজনীতি তথা জনাদেশ’ আর ‘নগররাষ্ট্রীয়-প্রাতিষ্ঠানিক-আমলাতন্ত্রের’ সমন্বয়ে গঠিত,বহুল-প্রত্যাশিত,সমান্তরালভাবে কার্যকরী ও জনকল্যাণমুখী পদ্ধতির সম্পাদনায় তথা সুশাসনের সক্রিয়-কার্যকর-রুপের ভারসাম্যরক্ষা এবং তার যথার্থ-সফল-সার্বিক বাস্তবায়ন রেখার ঢাল ক্রমশঃ সূচকীয় হারে হ্রাসমান তা সর্বাগ্রে বিবেচ্য! ! যা আগামী প্রজন্মকে জনতানির্ভর রাজনীতির প্রতি বিমুখতা এবং পুঁজিনির্ভর-কর্তৃত্ববাদী জন-বিচ্ছিন্ন নির্বাহী ব্যক্তিত্ত্বে রুপান্তরের লিপ্সায় আচ্ছন্ন করবে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি মন্রণালয়ের অধীনস্ত সকল বিভাগীয় দপ্তর-অধিদপ্তরসমূহে নির্বাহী দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সর্ব-স্তরের সদস্যদের মনে রাখতে হবে যে- তারা আজ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের প্রকৃত বৈধ মালিকপক্ষের অর্থাৎ জনসাধারণের-সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বা রাজনীতিবিদদের সুনির্দিষ্ট,সুপরিকল্পিত এবং সার্বিক-কল্যাণমুখী নির্দেশনার ভিত্তিতে জনগণের প্রাপ্য নাগরিক অধিকার-প্রতিষ্ঠা তথা প্রাপ্য-ন্যায্য-সেবা’দানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সকল পদ্ধতিগত-আইনসংগত জনাদেশ বাস্তবায়নে দৃড়চিত্তে নিয়োজিত আছেন বা থাকবেন; অতএব , বৃটিশ জলদস্যুদের নপুংসক পদ্ধতিতে জবরদখলকৃত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ভুখণ্ডের পশ্চাৎপদ অধিবাসীগণ’ যারা অশিক্ষার হীনমন্যতায় আড়ষ্ট, কুশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত-দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিত্ব,জোরপূর্বক দাসত্বের শৃঙ্খলে-অলঙ্কৃত,বিভাজিত-বহুমাত্রিক আদর্শের-চাপায় পিষ্ট, অনিচ্ছাকৃত সাম্রাজ্যবাদী হুকুমের বাধ্যগত,,মৃত্যুভয়ে সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত,জীবীকার অনিশ্চয়তায় চিরতটস্থ বা নিজ গৃহেই দখলদারের কৃপায় পরাশ্রিত অথবা সদা-দাক্ষিণ্য-প্রত্যাশী, পরাধীন-পরজীবী কোন জনগোষ্ঠীর অধিকার সচেতনতা দমন কিংবা অন্যায্য খাজনা আদায়ের চিরায়ত আগ্রাসী মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। ঔপনিবেশিক দখলদারদের বিবেচনায় গরু-মহীষ সদৃশ নিছক উপযোগ-উৎপাদন-প্রাণী বা নিঃশর্ত আজ্ঞাবাহক, কৃতদাস কিংবা চাকর শাসনের নিমিত্তে অভিপ্রেত “যন্ত্র” দিয়ে আজ অবধি কেন তবে মৃত্যু-হাটে-রক্ত-দরে মুক্তিকেনা একমাত্র স্বাধীনতাজয়ী বীরের জাতি তথা বাংলাদেশের অনন্য-প্রকৃত মালিক “বাংলাদেশী” নাগরিকদের শাসনের নামে শোষণের সংস্কৃতির মূল উৎপাটন করা হবে না?

আইনসভা,বিচার-বিভাগ,নির্বাহী-বিভাগসহ সবগুলো জনসেবামূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মৌলিকনীতি যথা-সংবিধান হতে শুরু করে পুলিশ আইন,বিচার-দর্শন,কার্যবিধি, দণ্ডবিধিসহ নতুন সরকার গঠন-পদ্ধতিতে অবিসংবাদিত-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে রক্তপাতহীন-শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে স্পটতঃ অমানবিক-মধ্যযুগীয়-বর্বর সকল বিভ্রান্তিকর ঔপনিবেশিক কালো-আইন অনতিবিলম্বে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে “গোলাম-শাসন” এর পরিবর্তে ‘মনিবতোষণের’ মনোভাব ও সংস্কৃতি চর্চার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালের রাষ্ট্র-কাঠামোর পদ্ধতিগত কার্যরুপ যদি একই থেকে যায় তবে আমরা “বাঙালি-মুসলমান”দের প্রকৃত চুড়ান্ত-মুক্তি অর্জনের সেই হাজার বছরের ত্যাগ ও রক্তদান ব্যর্থ হয়ে যাবে। বেহাত বিপ্লবের গ্লানিবোধটুকু আমাদের মহান ত্যাগ-সংগ্রাম ও রক্তদানের বিরল ইতিহাসকে যেন মৃয়মান-অর্থহীন করতে না পারে তার প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে।

মানব-দৌড়ের বিজয়গাঁথায়-“বারবার ঘোড়সওয়ার পরিবর্তনের চেয়ে ‘হ্যানসেনের রোগে’-রোগাক্লিষ্ট,মর্মব্যাধিতে চির-আক্রান্ত,বিচারবুদ্ধিহীন-তাড়নানির্ভর, রিপুমত্ত-বাতিকগ্রস্ত,অবিশ্বস্ত-পঙ্কিলতামগ্ন,মানবিকতা-বিবর্জিত,উদ্ধত-নিয়ন্ত্রনহীন-উশৃংখল,মনিবঘাতক-পাগলা ঘোড়ার সুচিকিৎসা অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্রের মৌলিক নীতিগত ‘আধুনিক আদর্শ রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্র সংষ্কার -পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন এবং তার সফল বাস্তবায়ন’ অধিক গুরুত্বপূর্ণ।”

- Advertisement -

Subscribe

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

ফলো করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় খবর
মতামত দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *