শাহরুখের ‘একসময়কার’ গায়ক-বন্ধু অভিজিৎ ভট্টাচার্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা দুজনেই বৃশ্চিক রাশিজাত। আমার অক্টোবরের ৩০ তারিখ জন্ম, ওঁর নভেম্বরের ২ তারিখে। আমাদের স্বভাবও অনেকটা এক। নিজেদের নিয়ে গর্ব করি না ঠিকই তবে আমাদের আত্মসম্মান বোধ মারাত্মক। আমাদের দুজনের মধ্যে অবশ্য কিছু সমস্যাও রয়েছে। আমি বহুবার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। তবে ও খুব ব্যবসাটা বোঝে। শাহরুখ তোমাকে ব্যবহার করবে। আর নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থে তারপর তোমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেও দ্বিধাবোধ করবে না।
নব্বই দশকে বলিউডে শাহরুখ খানের সিনেমা মানেই তাতে অভিজিৎ ভট্টাচার্যর কণ্ঠে মাস্ট! একসময় মশকরা করে বলা হত, বাঙালি গায়কের গানের জেরেই ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে বাদশা তকমা দিয়েছে। সেই নাম এখন অনুরাগীদের মুখে মুখে। কুমার শানু কিংবা উদিত নারায়ণের গানেও লিপ দিয়েছেন শাহরুখ, কিন্তু অভিজিৎ ভট্টাচার্যর কণ্ঠে তাঁর সিনেমা যে কটা গান রয়েছে, তার সবকটাই একসময়ে চার্টবাস্টারে রাজত্ব করত। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকেই কিং খানের সঙ্গে অভিজিতের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ‘বিল্লু’র পর থেকে শাহরুখের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এবার বলিউড বাদশাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অভিজিতের মুখে।
এর পাশাপাশি শাহরুখের প্রশংসাও অবশ্য করলেন অভিজিৎ। বললেন, “কিন্তু ওকে যেভাবে অ্যান্টি ন্যাশনাল বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়, সেটা ঠিক নয়। শাহরুখের থেকে বড় জাতীয়তাবোধ আর কারও নেই। ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’, ‘স্বদেশ’, ‘অশোকা’ এবং শাহরুখের নিজের করা সবকটা ছবিতেই হিন্দু সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। সব খানদের মধ্য়ে শাহরুখের জাতীয়তাবোধই সবথেকে বেশি। আর কাউকে তো দেখি না দেশের জন্য কিছু করতে।”
‘বড়ি মুশকিল হ্যায়’, ‘জারা সা ঝুম লু ম্যায়’, ‘ম্যায় কোই অ্যাইসা গীত’ থেকে ‘তুমহে জো ম্যায়নে দেখা’, ‘ধুম তা না’র মতো শাহরুকের ছবিতে বহু সুপারহিট গান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বরাবর সোজাসাপটা কথা বলে সংবাদের শিরোনামে থাকেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। যার জেরে কাজের জায়গাতেও কম ভুগতে হয়নি তাঁকে! অতীতে এক ঝামেলার জন্য শাহরুখ খানের সঙ্গেও তাঁর কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!