রোগব্যাধি বা অকালমৃত্যুর কারণে ২০০০ সালের তুলনায় বর্তমানে সুস্থ জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় হারিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় কারণ হচ্ছে স্থূলতা, রক্তে উচ্চ শর্করা, উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য উপসর্গের মতো বিষয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
মায়ের অপুষ্টি ও শিশুর অপুষ্টির (খর্বকায়-কৃশকায়) সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো যুক্ত হলে আরও বেশি সুস্থ জীবনের সময় (৭১ দশমিক ৫ শতাংশ) হারিয়ে যায়।
‘দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজেস, ইনজুরিস অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডি ২০২১’ শিরোনামের গবেষণাটি গতকাল স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।
‘দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজেস, ইনজুরিস অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডি ২০২১’ শিরোনামের গবেষণাটি গতকাল স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী অসুস্থতা ও অকালমৃত্যুর প্রধান প্রধান কারণ চিহ্নিত করতে গবেষণাটিতে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণাপত্রের লেখকেরা বলছেন, মানুষের বয়স ও জীবনধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জে যে একটা সুস্পষ্ট বদল এসেছে, তা এই গবেষণার তথ্যে দেখা যাচ্ছে। যদিও ২০০০ ও ২০২১—উভয় বছরের উপাত্তে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ ছিল বায়ুদূষণ।
গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন, গবেষণার ফলাফল অভিন্ন না। উদাহরণ হিসেবে আফ্রিকার সাব-সাহারা এলাকায় অপুষ্টি এখনো একটি প্রধান স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ।
গবেষকেরা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ১৫-৪৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে অসুস্থতা দিন দিন বৃদ্ধির কারণ উচ্চ বডি-মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ও রক্তে উচ্চ শর্করা। ডায়াবেটিস বিকাশের ক্ষেত্রে এগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিয়ান ওং। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্থূলতা ও মাদকাসক্তি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোর কারণে ভবিষ্যৎ প্রবণতা অতীতের চেয়ে বেশ ভিন্ন হতে পারে। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজেস দলের একটি অনুবর্তী সমীক্ষা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের আয়ুষ্কাল ৪ দশমিক ৫ বছর বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আয়ুষ্কাল ৭৩ দশমিক ৬ থেকে বেড়ে ৭৮ দশমিক ১ বছর হতে পারে। গবেষণায় অবশ্য পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আয়ুষ্কাল বাড়লে মানুষের রুগ্ণ স্বাস্থ্যের সময়কাল বাড়তে পারে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!