ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, তিন সপ্তাহ আগে বৈরুতের একটি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন নিহত হয়েছেন।
জেরুজালেম থেকে প্রকাশিত সিনহুয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান একটি বিল্ডিং লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা দক্ষিণ বৈরুতের একটি উপশহরে অবস্থিত। ওই বিল্ডিংয়ে হিজবুল্লাহর আন্ডারগ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স হেডকোয়ার্টার ছিল বলে ইসরাইলের দাবি।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার সময় বিল্ডিংটিতে প্রায় ২৫ জন সিনিয়র হিজবুল্লাহ কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের বেঁচে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
হাশেম সাফিউদ্দীন সাবেক হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নসরুল্লাহর মামাতো ভাই ছিলেন। সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের অভিযানে নসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর সাফিউদ্দীনকে তার উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সাফিউদ্দীন হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক-রাজনৈতিক সংস্থা মজলিশে শুরার সদস্য হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
সাফিউদ্দীনের হত্যার ঘোষণার পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান হার্জি হালেভি মন্তব্য করেন, “আমরা নসরুল্লাহ, তার উত্তরসূরি এবং হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। ইসরাইলের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেওয়া তাদের প্রতিরোধে আমাদের কৌশল কার্যকর রয়েছে।”
এদিকে, হিজবুল্লাহ সাফিউদ্দীনের হত্যার ব্যাপারে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
হিজবুল্লাহর এই শীর্ষ নেতার মৃত্যু ইসরাইলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক দিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!