বিশ্ববাজারে সোনার দামে অস্থিরতা, বাজারে রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা! বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) হুটহাট সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছে।
এ রেকর্ডও যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে, কারণ বিশ্ববাজারে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীদের। নতুন সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দামে প্রথমবারের মতো দুই হাজার একশ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বাজারে নতুন ধারণা উত্পন্ন করতে পারে।
হঠাৎ সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাথেই সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের আশঙ্কা এবং এই অস্থিরতা এনেছে এক ধরনের অনিশ্চিত অবস্থা। এই সম্প্রদায়িক ঘটনায় বৈশ্বিক অস্থিরতা বাড়ে, ফলে নিরাপদ বিনিয়োগে হঠাৎ সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে এবং এর পরিণামে সোনার দাম সহ বাজারে অনিশ্চিততা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১ দশমিক ২৩ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে সোনার এমন দাম বাড়ার মধ্যে দেশের বাজারেও দফায় দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ১০ দিনের মধ্যে তিন দফা সোনার দাম বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়, যেতে হয়েছে রেকর্ড ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা নির্ধারণ করে। এটি দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১ দশমিক ২৩ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাজুস থেকে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় গত ২৯ নভেম্বর। এরপর বিশ্ববাজারে আরও দুই কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ দুই কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৪০ ডলার বেড়ে গেছে। এতে বিশ্বাবাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে কার্যদিবসের লেনদেনে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭২ ডলার পর্যন্ত উঠে। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫১ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল।
যোগাযোগ করা হলে বাজুসের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, ‘বিশ্ববাজারে সোনার এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। সামনে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণ করা হচ্ছে এবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার এক’শ ডলার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে যায়। এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক ধরনের বৈশ্বিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বচন আসছে। ফলে এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হার্ড কারেন্সির (ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রা) পরিবর্তে সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে দাম বেড়েছে।’ বাজুসের সাবেক আরেক সভাপতি এনামুল হক বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণ-সোনার যে পরিমাণ চাহিদা, সেই পরিমাণ সরবরাহ নেই। এ চাহিদা বাড়ার কারণে মানুষ সোনাকে নিরাপদ মনে করে।’
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!