দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ। এবারের ১৯৭ তম ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল ১০ টায়।
বিকল্প ইমামের ব্যবস্থা রেখে এবারের ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। জামাতে ইমামতি করার কথা রয়েছে মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদের । তবে তিনি যদি কোন কারণবশত ইমামতি করতে না পারেন, তবে তাঁর বিকল্প হিসেবে থাকবেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আব্দুর রউফ।
গত পরশুদিন ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এসময় তারা শোলাকিয়া মাঠের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়াও সাংবাদিকদের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের সার্বিক প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। কোনক্রমেই যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সেজন্য ওয়াচ-টাওয়ার ও মাঠের আশপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে । নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা । এ ছাড়া পাঁচ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ট্রেনটি ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে সকাল ৮ টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে বেলা ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে।
শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ট্রেনটি ময়মনসিংহ থেকে সকাল পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮ টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ অভিমুখে রওনা হয়ে ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন আপোষ নেই। যেকোনো ধরনের ব্যতয় বা সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশপাশের যে হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো রয়েছে—সেগুলোকেও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে এবং সার্চ অব্যাহত রাখা হয়েছে। কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম বলেন, ঈদগাহে আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে মাঠে নামাজ আদায় করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, ‘ঈদ জামাতকে ঘিরে প্রস্তুতি শেষ করতে পেরেছি। সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ, দাগ-কাটা, রং করা, মাইকিং, সাউন্ড সিস্টেমের সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। যে রাস্তাগুলো মেরামতের বাকি ছিল সেগুলোও মেরামত করা হয়েছে। আমরা পুরোপুরিভাবে ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত।’
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!