সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে রাশিয়ার পারমাণবিক হামলা চালানোর নির্দেশদাতা কে হবেন? রাশিয়ার ক্ষেত্রে মূলত পারমাণবিক অস্ত্রসংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহীতা পুতিন নিজেই। তথাকথিত নিউক্লিয়ার ব্রিফকেস বা চেগেট সব সময় প্রেসিডেন্টের কাছেই থাকে। এ ছাড়া রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলুসভ ও চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের কাছেও এ ধরনের ব্রিফকেস থাকতে পারে। বর্তমানে এ ধরনের ব্রিফকেসকে মূলত যোগাযোগের যন্ত্র বলা হয়ে থাকে। এ যন্ত্রের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও রকেটবাহিনী হয়ে গোপন ‘কাজবেক’ নামের বৈদ্যুতিক কমান্ড ও কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কাজবেক কাভজাক নামের আরেকটি সিস্টেমকেও সমর্থন করে। প্রেসিডেন্টের কাছে থাকা ব্রিফকেসে কয়েক ধরনের বোতাম থাকে। কমান্ড সেকশনে থাকে দুটো বোতাম। এর মধ্যে একটি সাদা বোতাম বা চালু বোতাম ও আরেকটি লাল বা বাতিল বোতাম। বিশেষ একটি ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করে ব্রিফকেস চালু করা হয়।
রাশিয়া যদি মনে করে তারা কৌশলগত পারমাণবিক আক্রমণের শিকার হয়েছে, তবে প্রেসিডেন্ট ব্রিফকেস ব্যবহার করে সরাসরি আক্রমণের জন্য কমান্ড দিতে পারেন। এ ছাড়া তিনি পাল্টা হামলার জন্যও পারমাণবিক হামলার আদেশ দিতে পারে। এসব নির্দেশ পেলে বিভিন্ন যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে রকেট ফোর্স বিভাগকে হামলার জন্য প্রস্তুত করা যায়।
পারমাণবিক হামলা নিশ্চিত হলে পুতিন তথাকথিত ‘ডেড হ্যান্ড’ বা ‘পেরিমিটার’ হামলার নির্দেশও দিতে পারেন। এতে কম্পিউটার ব্যবস্থার মাধ্যমে রাশিয়ার পুরো অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলা যাবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য তাদের পুরো সিস্টেম সম্পর্কে কোনো তথ্য সামনে আনা হয়নি। এ ছাড়া সোভিয়েত যুগের পর থেকে তাদের সিস্টেম হালনাগাদ করা হয়নি। তাই তাদের পারমাণকি অস্ত্র ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!