গাজায় স্কুলে বিমান হামলা নিয়ে ইসরায়েলকে পুরোপুরি স্বচ্ছ থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। স্কুলটিতে অনেক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে। তবে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে।
নুসেইরাতের শরণার্থীশিবির হিসেবে পরিচালিত ওই স্কুলের সবচেয়ে ওপরের তলার শ্রেণিকক্ষগুলোতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, স্কুলে হামাসের ‘গোপন আস্তানা’ সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করে তাঁরা হামলা চালিয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের ইসরায়েলকে জনসম্মুখে চিহ্নিত করতে হবে। ইসরায়েল বিমান হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের মাঝেমধ্যে চিহ্নিত করে। তবে এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে জোরালোভাবে এমনটা করতে বলেছে।
মিলার আরও বলেন, ইসরায়েলের সরকার বলেছে, তারা এই হামলার বিষয়ে আরও তথ্য জানাবে। হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিচয়ও জানাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ইসরায়েল পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় রাখবে। তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করবে।’গতকাল সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি হামলায় নিহত ৯ জন হামাস সদস্যের নাম প্রকাশ করেন। তথ্য যাচাই করে আরও কয়েকজনের নাম জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলের হামলায় ৪৫ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পরেই এই হামলার ঘটনা ঘটল। মিলার আরও বলেন, হামলায় ১৪ শিশু নিহত হওয়ার খবর শুনেছেন তিনি। যদি সেটি সত্য হয় তাহলে তাঁরা সন্ত্রাসী ছিলেন না।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪৭০ জন নিহত হয়েছে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!