কিশোরগঞ্জে দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এক ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি হুমায়ুন কবীর সদর উপজেলার সতাল এলাকার মাদানিয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ উপজেলার নানশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার মতে, মাদানিয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রী সহ কিছু ছাত্রী পড়াশোনা করে। অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর (৪৮) বাদীর ১১ বছরের মেয়ে ও তার এক সহপাঠীকে ৩ মাস যাবত শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
এক পর্যায়ে গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ঐ দুই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় তারা চিৎকার শুরু করলে তাদের গলা চেপে ধরা হয়। পরে মেয়ে দুটি কৌশলে কক্ষ থেকে বের হয়ে পালিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায় এবং পরিবারকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।
ঘটনার বিস্তারিত শুনে বুধবার গভীর রাতেই ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ মাদ্রাসার কাছ থেকে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অভিযোগ হাতে পাওয়া মাত্রই আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারে মাঠে নেমে পড়ি এবং দ্রুতই গ্রেফতার করতে সমর্থ্য হই। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!