ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং তাপ পোড়ায় না এমন একটি নতুন অস্ত্র যা তরুণ প্রজন্মকে আসক্ত করে ফেলে, যা তাদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
তামাক কোম্পানিগুলো চতুরতার সাথে তরুণদের কাছে এসব পণ্য বাজারজাত করছে। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে দ্রুত ই-সিগারেট ও ভ্যাপিং নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছে।
গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ‘ই-সিগারেট ও ভ্যাপিং নিষিদ্ধ করুন’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সমবেত-বক্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলেন, ই-সিগারেটসহ সব উদীয়মান তামাকজাত পণ্যকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এমনকি ই-সিগারেটকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ই-সিগারেটের মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানও রয়েছে।
সমবেত-বক্তারা কিশোরগঞ্জ পোস্টের ঢাকা প্রতিনিধিকে জানান, তামাক কোম্পানি সব সময়ই দেশের জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানি করছে। তারা আরও বলেন, তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটকে উৎসাহিত করতে তারা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তামাক কোম্পানিগুলোকে এই নিষ্ক্রিয়তা বন্ধ করতে হবে। জনসংখ্যা বাঁচাতে ই-সিগারেটসহ সব ধরনের ভ্যাপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান, সহকারী পরিচালক ডাঃ নায়লা পারভীন, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য আইনজীবী ও তামাকবিরোধী সংগঠক ডা. সৈয়দ মাহবুবুল হক, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা সেলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারহানা জামান লিজা, এইড ফাউন্ডেশন আবু নাসের অনিকসহ আরও অনেকে।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!