দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী–বাজিতপুর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত আফজাল হোসেন কিভাবে সংসদ সদস্য পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
নির্বাচনী হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা (কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক), সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী মো. শমসের মবিন বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় একটি মামলায় বেকসুর খালাসের কথা উল্লেখ করলেও আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান আছে, যা তিনি গোপন করেছেন। আর এই ফৌজদারি মামলা সমূহের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে আফজাল হোসেনের পদে থাকার বৈধতা নিয়ে ঐ এলাকার দুই ভোটার (নজরুল ইসলাম ও এ কে এম আজম) ও মামলার বাদী (কামাল হোসেন) ১১ জানুয়ারি একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আফজাল হোসেনের সংসদ সদস্য পদ কিভাবে বহাল আছে তা জানতে চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট রুল জারি করে।
উল্লেখ্য যে, এই রুল জারি থাকা অবস্থায় আফজাল হোসেনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোন অসুবিধা নেই। তবে রুলের জবাবের পর চূড়ান্ত শুনানি শেষেও যদি এই রায় বহাল থাকে তবে তিনি তার এমপি পদ হারাবেন।
Subscribe
Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!